19
বেহেস্তো আল্লাতালার তারিফ
এরবাদে আমি বেহেস্তর মাজে বউত মানষর ভিড়র আওয়াজ হুনলাম। তারা কইরা, “আল-হামদুলিল্লা! মহিমা আর খেমতা, আখেরাতর নাজাত, হক্কলতাউ আমরার আল্লার। তান বিচার তো হক আর সঠিক। যে টাউনে নিজর জিনার কাম দিয়া আস্তা দুনিয়ারে নাপাক বানাইছিল, হউ মহা-বদমাইশনিরে আল্লায় সাজা দিছইন। তান মায়ার গুলাম অকলর লউর বদলা, তাইন অগুর গেছ থাকি লইছইন।” এরা হিরবার কইলা, “আল-হামদুলিল্লা! অগুর মাজ থাকি হর-হামেশা ধুমা বারইবো।” আল্লা পাক যেইন তখতো বওয়াত আছইন, হউ চব্বিশ জন মুরব্বি নেতায় আর হউ চাইরো জানদারে তানরে সইজদা করিয়া কইলা, “আমিন! আল-হামদুলিল্লা।”
অউ সময় বেহেস্তি তখতো থাকি একজনে কইলা, “ও আল্লার মায়ার গুলাম অকল, তুমরা যেরা আল্লারে ডরাও, তুমরা হুরু-বড় হক্কলে আমরার আল্লার তারিফ করো।”
বাদে আমি বউত মানষর ভিড়র আওয়াজ বা জুরে জুরে কল-কলাইয়া পানি পড়ার আওয়াজ বা জুরে ঠাঠা পড়ার আওয়াজর লাখান অউ কথা খানাইন হুনলাম, “আল-হামদুলিল্লা! আমরার সর্ব-শক্তিমান মাবুদ আল্লায় বাদশাই করা শুরু করছইন। আও, আমরা মনর খুশিয়ে ফুর্তি করি, আর তান তারিফ করি, কারন মেড়ার বাইচ্চায় শাদি করার সময় অইগেছে, তান কইনা জুইত অইয়া হাজিগেছইন। তানরে চকচকা পরিস্কার দামি কাপড় ফিন্দাইল অইছে।” ই কাপড় অইলো আল্লার পাক বন্দা অকলর পরেজগারি চাল-চলন।
বাদে হউ ফিরিস্তায় আমারে কইলা, “তুমি অখান লেখ, মেড়ার বাইচ্চার শাদির মজলিছো যেরারে দাওত দেওয়া অইছে, তারা মুবারক।” তাইন এওখান কইলা, “ইতা অইলো আল্লার কালাম, ইতা খাটি হাছা।” 10 তেউ আমি অউ ফিরিস্তারে সইজদা করার নিয়তে তান পাওয়ো পড়লাম, অইলে তাইন আমারে কইলা, “হায়, হায়! ইতা কিতা কররায়, আমিও তো তুমার লাখান গুলাম, আর তুমার যে মুমিন ভাই অকলে হজরত ইছার পক্ষে জবানবন্দি দেওয়াত রয়, আমি তারার লাখানও গুলাম। তে খালি আল্লারে সইজদা করো। অউ ইছার জবানবন্দিউ অইলো, নবী-রছুল অকলর জবানবন্দির মুল খুটি।”
আখেরাতর বিচার (১৯:১১-২০:১৫)
বাদশা অকলর বাদশার জয়
11 বাদে আমি দেখলাম, বেহেস্তর দুয়ার খুলা, আর হনো ধলা একটা ঘোড়া আছে। হউ ঘোড়ার উপরে যেইন তশরিফ রাখছইন, তান নাম অইলো, হক আর হক-হালালি। তাইন পাক-পরেজগারিয়ে বিচার-ইনছাফ আর যুদ্ধ করইন। 12 তান চউখ অইলো জালাইল চকচকা আগুনির লাখান, তান মাথাত বউত তাজ আছে। তান শরিলো অমন এক নাম লেখা, যে নামর মানি তাইন ছাড়া দুছরা কেউ জানে না। 13 তান ফিন্নো আছে লউর মাজে ডুবাইল লেবাছ, আর তান নাম অইলো, “কালিমাতুল্লা, আল্লার কালাম।” 14 আর বেহেস্তর সিপাই অকলে দামি ছাফ-ছুতরা ধলা লেবাছ ফিন্দিয়া, ধলা ঘোড়ার উপরে ছওয়ার অইয়া তান খরে খরে যাইরা। 15 তাইন যাতে জগতর হকল জাতিরে সাজা দিতা পারইন, অতার লাগি তান মুখ থাকি এখান ধারাইল তলোয়ার বারইয়া আইলো। তাইন লুয়ার লাঠি দিয়া তামাম জাতিরে শাসন করবা, আর আংগুর মাড়ার গাতো মানষে যেলা পাওদি আংগুর মাড়ইন, সর্ব-শক্তিমান আল্লার লান্নতি গজবদি তাইন অলা মাড়িবা। 16 তান উরাতর মাজে আর তান লেবাছো অউ নাম লেখা আছে, “বাদশা অকলর বাদশা, মালিক অকলর মালিক।”
17 বাদে আমি দেখলাম, সুরুজর মাজে একজন ফিরিস্তা উবাই রইছইন। আছমানর মাজে যেতা পাখিন্তে উড়িরা, তাইন এরা হকলরে জুরে জুরে ডাকিয়া কইলা, “আও, আল্লার দরবারো মহা-দাওত খাওয়ার লাগি এখানো দলা অও, 18 যাতে তুমরা আইয়া গোস্ত খাইতায় পারো, বাদশা, পরধান সিপাই, পয়লোয়ান অকল, ঘোড়াইন আর ঘোড়াইন্তর ছওয়ার অকল, আজাদ আর গুলাম, হুরু-বড় হকল মানষর গোস্ত খাও।”
19 এরবাদে আমি দেখলাম, অউ ঘোড়াত যেইন ছওয়ার অইছইন, এন লগে আর এন সিপাই দলর লগে যুদ্ধ করার লাগি হউ জানুয়ার, আস্তা দুনিয়ার রাজা অকল, তারার সৈন্য-সিপাই দল লইয়া এখানো দলা অইলা। 20 তেউ হউ জানুয়াররে ধরিয়া আটক করা অইলো, আর যে ভন্ড নবীয়ে তার পক্ষ লইয়া আচানক কাম দেখাইতো, তারেও ধরা অইলো। যেতা মানষে হউ জানুয়ারর সীল লাগাইছে, তার মুর্তির পুজা করছে, অউ ভন্ড নবীয়ে তার আচানক কাম দেখাইয়া অতা মানষরে বে-পথি বানাইছে। ই দুইওটারে জিন্দা হালতে, জালাইল গন্ধকর আগুনির মাজে ফালানি অইলো। 21 হউ ধলা ঘোড়ার উপরে যেইন বওয়াত আছলা, তান মুখ থাকি যে ধারাইল তলোয়ার বারইয়া আইছিল, অখানদি তারার লগর সাংগ-পাংগ অকলরে খুন করা অইলো। এরলাগি হকল পাখিন্তে পেট ভরিয়া অতার গোস্ত খাইলা।