নাফরমান বাবিল টাউনর বিচার (১৭:১-১৯:১০)
17
নামকরা মহা বদমাইশনি
যে সাতজন ফিরিস্তার আতো সাতটা বাটি আছিল, এরার মাজর একজনে আইয়া আমারে কইলা, “আও, আইয়া দেখো, বউত পানির উপরে যে মহা বদমাইশনি বইছে, তাইর কিতা সাজা অইবো। জগতর রাজা অকলে তাইর লগে জিনা করছলা, হনর মানষে তাইর জিনার নিশা-পানি খাইয়া টাল অইছলা।” বাদে হউ ফিরিস্তায় রুহানি হালতে আমারে মরুভুমিত নিলা। হনো আমি দেখলাম, লাল রংগর এক জানুয়ারর উপরে এক বেটি বইরইছে। অউ জানুয়ারর গতরো বউত কুফুরি নাম লেখা আছে। অগুর সাতগু কল্লা আর দশগু হিং দেখলাম। অউ বেটিয়ে লাল আর বাইংগনি রংগর খুব দামি কাপড় ফিন্দিছে, তাই সোনা আর দামি দামি মনি-মুক্তার গয়নাদি হাজিছে। তাইর আতো জিনার ময়লা আর নানান নমুনার নফরতি জিনিসে ভরা সোনার এক পিয়ালা। তাইর কপালো অলা এক নাম লেখা আছিল, ই লেখার এক গোপন মানি আছিল। ই নাম অইলো, “নামকরা বাবিল টাউন, বদমাইশ বেটিন আর জগতর হকল নফরতি জিনিসর মা।” আমি দেখলাম, অউ বেটিয়ে আল্লার পাক বন্দা অকলর লউ আর যেরা হজরত ইছার কথা তবলিগ করে, এরার লউ খাইয়া টাল অইগেছে।
তাইরে দেখিয়া আমি আচানক তাইজ্জুব অইলাম। তেউ হউ ফিরিস্তায় আমারে কইলা, “তুমি তাইজ্জুব অইগেলায় কেনে? অউ বেটির বেয়াপারে, আর যে জানুয়ারে তাইরে বইয়া নের, যেগুর সাতগু কল্লা আর দশগু হিং, ইতার গোপন ভেদ আমি তুমারে জানাইয়ার। তুমি যে জানুয়ার দেখছিলায়, ইগু আগে আছিল, অখন নাই, বাদে হে হাবিয়া দোজখ থাকি উঠিয়া আইয়া চিরকালর লাগি সাজা পাইবো। হউ যেরা অউ জগতর মানুষ, যেতার নাম দুনিয়ার পয়লা থাকিউ আল্লার জিন্দেগি খাতাত লেখা নাই, তারা অউ জানুয়াররে দেখিয়া তাইজ্জুব অইযিবা, কারন ইগু আগে আছিল, অখন নাই, অথচ হিরবার দেখা দিবো।
“হুনো, অখন যেতা বাতাইল অইবো, ইতা বুজার লাগি আখলর দরকার। অউ সাতো কল্লা অইলোগি, সাতটা পাড়, যে পাড়র উপরে অউ বেটি বইছে। অউ সাতো কল্লারে সাতজন রাজাও বুজা যাইবো। 10 এরার মাজর পাচ রাজা আগেউ শেষ অইগেছে। একজন অখন আছে আর একজন অখনও আইছে না। অউ রাজা আইয়া হারলে থুড়া কয়দিন রইতেউ অইবো। 11 হউ যে জানুয়ার আগে আছিল অখন নাই, হে সাতজনর মাজর একজন অইলেও, হে আসলে আট নম্বর রাজা। বাদে হে হর-হামেশা চিরকাল সাজা পাইবো।
12 “আর তুমি যে দশগু হিং দেখছো, ইতা অইলোগি দশজন রাজা। তারা অখনও রাজত্ব করা শুরু করছে না, অইলে হউ জানুয়ারর লগে রাজা বনিয়া তারা খুব কম সময় রাজত্ব করার খেমতা পাইবো। 13 ই রাজা অকলর মন অইবো একই লাখান, তারা হকলে তারার খেমতা আর এখতিয়ার হউ জানুয়াররে দিলাইবো। 14 তারা মেড়ার বাইচ্চার লগে যুদ্ধ করবো, আর মেড়ার বাইচ্চায় তারারে আরাইবা। কারন তাইন অইলা মালিক অকলর মালিক, বাদশা অকলর বাদশা। আর তান লগে যেরা রইবা তারারে দাওত দেওয়া অইছে, আর বাছিয়া আলগাইল অইছে, তারা হক-হালালি।”
15 বাদে অউ ফিরিস্তায় আমারে কইলা, “তুমি যে পানি দেখছো, যে পানির উপরে অউ মহা বদমাইশনি বইছে, ইতা অইলোগি বউত দেশ, বউত মানুষ, বউত জাতি আর বউত জাতর বুলিয়ে মাতরা মানুষ। 16 আর যে দশগু হিং দেখছো, ইতায় আর অউ জানুয়ারে ই বদমাইশনিরে বাদে ঘিন্নাইবা, তারা তাইরে পথর হকির বানাইয়া লেমটা করবা, আর তাইর গোস্ত খাইবা, হেশে তাইরে আগুনিত ফালাই জালাইবা। 17 এর কারন অইলো, আল্লায় তারার দিলর মাজে অলা এক নিয়ত দিছইন, যাতে তান মর্জি পুরাপুর ফলে। এরলাগি তারা একমত অইয়া হউ জানুয়াররে হক্কল খেমতা দিলাইবা, যাতে আল্লার কালাম পুরাপুর ফলিবার আগ পর্যন্ত হে রাজত্ব করে। 18 তুমি যে বেটিরে দেখছো, ইগু অইলোগি হউ নামকরা টাউন, ই টাউনে জগতর হকল রাজাইন্তর উপরে রাজত্ব করের।”