11
দুইজন সাক্ষি
বাদে মাপিবার লাগি লাঠির লাখান একটা নল আমার আতো দেওয়া অইলো, আর একজনে কইলা, “হুনো, পবিত্র বায়তুল-মুকাদ্দছ কাবা শরিফ আর কুরবানি খানারে মাপো। মাপিয়া হনো যেরা এবাদত করে তারার পরিমান গনো। অইলে অউ কাবা ঘরর উঠানরে মাপিও না, ইখান বাদ দেও, ইখান তো বিধর্মী অকলরে দেওয়া অইছে। তারা বেয়াল্লিশ মাস ধরি ই পবিত্র জাগা খানরে পাওদি কছলাইবো। আর আমি আমার দুইজন সাক্ষিরে অলা খেমতা দিমু, ই খেমতা পাইয়া এরা কাতর অইয়া ছলার চট ফিন্দিয়া, এক আজার দুইশো ষাইট দিন নবীর লাখান ওহী বাতাইবা।”
এরা অইলা হউ জয়তুন গাছ জুড়া, আর হউ চেরাগ দানি জুড়া, তারা তো দীন-দুনিয়ার মালিকর ছামনে উবাত আছইন। কেউ তারার খেতি করতে চাইলে, তারার মুখ থাকি আগুইন বারইয়া হি দুশমন অকলরে জালাইলিবো। যেকুনু জনে তারার খেতি করাত লাগলে অউ দশায় মউত অইবো। এরা যতদিন নবী হালতে ওহী বাতাইবা, অতো দিন যাতে কুনু মেঘ না অয় এরলাগি আছমানর দুয়ার বন্দ করি দিবার খেমতা তারার আছে। পানিরে লউ বানানি, আর যতবার খুশি অতবার যেকুনু গজব ঢালিয়া জগতর খেতি করার খেমতাও তারার আছে।
তারার জবানবন্দি দেওয়া শেষ অইগেলে হাবিয়া দোজখ থাকি হউ জানুয়ার উঠিয়া আইয়া তারার লগে লাড়াই করিয়া, তারারে আরাইয়া খুন করবো। আর তারার লাশ হউ মহান টাউনর রাস্তার মাজে পড়ি রইবো, যে টাউনো তারার মালিকরে সলিবর উপরে লটকাইয়া খুন করা অইছিল। ই টাউনর নাম ঠিক ছাদুম বা মিসর না অইলেও একই লাখানউ খারাপ। 9-10 হউ সময় হকল দেশ, খান্দান, হকল জাতর বুলিয়ে মাতরা মানষে আর হকল জাতির মানষে সাড়ে তিন দিন ধরি অউ লাশগুইন দেখবা। আর এরা মারা গেছইন করি জগতর দুনিয়াবি মানষে খুশিয়ে ফুর্তি-আমোদ করবা, একে-অইন্যরে উপহার দিবা। আর ই লাশ দাফন করার পারমিশন দিতা নায়, কারন অউ দুইও নবীর লাগি দুনিয়াদারি মানষর কষ্ট অইছিল।
11 বাদে হউ সাড়ে তিন দিন পারইয়া হারলে আল্লার দেয়া জান এরার ভিতরে হামাইলো, তেউ এরা পাওয়ো ভরদি উবাইলা। আর যতো জনে এরারে দেখলা, হকলেউ ডরাইয়া কাপিলা। 12 বাদে এরা হুনলা, বেহেস্ত থাকি ডাকিয়া জুরে জুরে কওয়া অর, “তুমরা অনো উঠিয়া আইও।” তেউ এরা নিজর দুশমনর ছামনে এক মেঘর চাকাত অইয়া বেহেস্তো গেলাগি। 13 অউ সময় খুব বড় ভৈছাল অইলো, আর হি টাউনর দশ বাটর এক বাট ভাংগি গেল। ভৈছালে সাত আজার মানুষ মরলা। ইতা দেখিয়া বাদ-বাকি হকলে ডরাইয়া বেহেস্তর আল্লার তারিফ করাত লাগলা।
14 অউ নমুনায় দুছরা গজব পারইলো, অইলে হুনো, তিন নম্বর গজব খুব জলদি আইয়া আজিবো।
সাত নম্বর শিংগা ফুকিলা
15 বাদে সাত নম্বর ফিরিস্তায় তান শিংগা ফুকিলা। তেউ বেহেস্তর মাজে জুরে জুরে এলান করা অইলো, “অখন তো দুনিয়ার বাদশাই আমরার মাবুদ আর তান মসীর হুকুমো আইছে। তাইন যুগ যুগ ধরি চিরকাল বাদশাই করবা।”
16 বাদে হউ চব্বিশ জন মুরব্বি নেতা, যেরা আল্লার ছামনে যারযির তখতো বওয়াত আছলা, এরা আল্লারে সইজদা করিয়া কইলা,
 
17 “ও সর্ব-শক্তিমান মাবুদ আল্লা,
তুমি আগেও আছলায় আর অখনও আছো।
আমরা তুমার শুকুর-গোজার কররাম,
তুমি তো তুমার মহা খেমতা আতো লইয়া অখন বাদশাই কররায়।
18 হক্কল জাতিয়ে গুছা করিয়া চিল্লাইছে,
তে অখন তুমার গজব ঢালিবার সময় অইগেছে।
মুর্দা অকলর বিচারর সময় আইছে,
আর তুমার আপন গুলাম নবী অকলর,
তুমার পাক বন্দা অকলর,
হুরু-বড় যতোজনে তুমারে ডরাইন,
তারারে পুরুস্কার দিবার সময় আইছে।
আর যেরা দুনিয়ার খেতি করছে,
তারারে বিনাশ করার সময়ও আইছে।”
 
19 বাদে আল্লার বেহেস্তর এবাদত খানার দুয়ার খুলা অইলো, আর এর ভিতরে আল্লাই শাহাদত সন্দুক দেখা গেল। অউ সময় মেঘর জিলকানি, গুড়-গুড়ি ডাক, ঠাঠা পড়া, ভৈছাল আর খুব বেশি হিল-মেঘ অইলো।