5
ইছায় আটতিশ বছরর বেমারিরে ভালা করলা
1 ইতার বাদে ইহুদি অকলর ইদর সময় আইলে ইছা জেরুজালেমো গেলাগি।
2 জেরুজালেমো মেড়া-দরজার কান্দাত একটা পুরকি আছিল, অউ পুরকিত ছিড়ি বান্দা পাচখান ঘাট আছিল, পাচো ঘাটর উপরে পাচখান ছাউনি। ইবরানি ভাষায় ই পুরকির নাম বায়ত-ছদা।
3 অউ ঘাটো বউত জাতর বেমারি পড়ি রইতো। লুলা-লেংড়া, আন্দা, আর বেমারে যেরার শরিল এক্কেবারে হুকাই গেছে, তারাও অনো রইতো।
4 মাজে মাজে একজন ফিরিস্তা আইয়া অউ পুরকির পানি লাড়াইতা, লাড়ানির বাদেউ পয়লা যে জন পানিত লামতো, তার যতো বড় বেমার অউক ভালা অইযিতো। এরদায় অউ বেমারি অকলে পানি লাড়ানির আশায় অনো পড়ি রইতো।
5 এরার মাজে অলা একজন বেমারি আছিল, যে বেটা আটতিশ বছর থাকি বেমার।
6 বউত দিন থাকি হে অনো পড়ি রইছে হুনিয়া ইছায় তারে জিকাইলা, “কিতাবা, তুমার ইচ্ছা নি তুমি ভালা অইযিতায়?”
7 বেটায় কইলো, “হুজুর, আমার তো ইলা কেউ নাই, যেইন পানি লাড়ানির লগে লগেউ আমারে পুরকিত লামাইতো। আমি লামতে লামতে আরক জন গিয়া লামি যায়।”
8 ইছায় এরে কইলা, “তে উঠো, তুমার বিছনা লইয়া আটা-চলা করো।”
9 লগে লগেউ অউ বেমারি ভালা অইগেল, আর তার বিছনা তুলিয়া চলা-ফিরা করলো।
হি দিন আছিল জুম্মাবার, জুম্মাবারে কুনুজাত কাম করা জাইজ নায়।
10 এরদায় ইহুদি নেতা অকলে অউ বেটারে কইলা, “আইজ তো জুম্মাবার, তে আইজ তুমার বিছনা তুলিয়া নেওয়া জাইজ নায়।”
11 অইলে হে কইলো, “যেইন আমারে ভালা করছইন, তাইনউ আমারে কইলা, উঠো, তুমার বিছনা লইয়া আটা-চলা করো।”
12 তেউ নেতা অকলে বেটারে জিকাইলা, “অউ মানুষগু খেগু, যেগিয়ে তুমারে কইছে, বিছনা লইয়া চলা-ফিরা করতায়?”
13 অইলে অউ বেটায় তো জানতো না, তাইন কে, হি জাগাত বউত মানষে ভিড় করিলিছইন দেখিয়া, ইছা হিন থনে গেছলাগি।
14 বাদে ইছায় অউ বেটারে বায়তুল-মুকাদ্দছো পাইয়া কইলা, “হুনো, তুমি তো বেমার থাকি ভালা অইগেছো। তে আর কুনু গুনা করিও না, যাতে তুমার সর্বনাশ না অয়।”
15 তেউ অউ বেটায় গিয়া ইহুদি নেতা অকলরে কইলো, তারে যেইন ভালা করছইন, এন নাম ইছা।
হজরত ইছার আল্লাই এখতিয়ার
16 ইছায় জুম্মাবারে বেমারিরে ভালা করায় ইহুদি নেতা অকলে তানরে মারিলিতা চাইলা।
17 অইলে ইছায় তারারে কইলা, “হুনো, আমার গাইবি বাফে হামেশা কাম কররা আর আমিও কররাম।”
18 ইখান হুনিয়া তারা তানরে জানে মারার লাগি আরো গরম অইয়া পথ তুকানিত রইলা। তারা মনো করছিল, তাইন খালি জুম্মাবারর নিয়ম ভাংগিছইন না, তাইন আল্লা পাকরে বাফ ডাকিয়া শিরিকিও করছইন।
19 এরলাগি তাইন অউ নেতা অকলরে কইলা, “আমি নিচ্চিত হক কথা কইরাম, পুতে তো নিজে নিজে কুন্তা করতা পারইন না, অইলে তান বাফরে যেতা কাম করাত দেখইন, তাইন খালি অতাউ করইন, বাফে যেতা করইন, পুতেও তো অতা করইন।
20 বাফে তান পুতরে মায়া করইন আর তাইন নিজে যে কাম করইন, ইতা হকলতাউ পুতরে দেখাইন। আর ইতা থাকি আরো বড় বড় কুদরতি কাম পুতরে দেখাইবা, যেতা দেখিয়া আপনারা তাইজ্জুব অইযিবা।
21 বাফে যেলা মুর্দারে জিন্দা করি তুলইন, পুতেও অউলা যেরারে ইচ্ছা জিন্দেগি দান করইন।
22 বাফে কেউরর বিচারও করইন না, তান হকল বিচারর ভার পুতর আতো দিছইন,
23 যাতে বাফরে যেলা হকলে ইজ্জত করে, অউলা পুতরেও ইজ্জত করে। পুতরে যে ইজ্জত করে না, হে আসলে হউ বাফরেও ইজ্জত করে না, যেইন ই পুতরে বেজিছইন।
24 “আমি আপনারারে হাছা কথা কইরাম, যে জনে আমার কালাম হুনে আর যেইন আমারে পাঠাইছইন তান উপরে ইমান আনে, হে তো আখেরি জিন্দেগি পাইলিছে। তারে আর দুষি সাইবস্তো করা অইতো নায়। হে তো মউত থাকি জিন্দেগিত পাড়ি দিলাইছে।
25 আর আমি হাছাউ কইরাম, ইলা এক জমানা আইবো, বরং অখনউ আইচ্ছে, যেবলা মুর্দা অকলে আমি ইবনুল্লার গলার আওয়াজ হুনবা, আর যারা হুনবা তারা জিন্দা অইবা।
26 ইতার কারন অইলো, বাফ নিজে যেলা জিন্দেগির মালিক, তান পুতরেও অউলা জিন্দেগির মালিকানা দিছইন।
27 বাফে পুতরে মানষর বিচার করার এখতিয়ার দিছইন, কারন এইনউ তো বিন-আদম।
28 তে ইতা হুনিয়া আপনারা তাইজ্জুব অইবা না, জানইন নি, অউলা সময় আইওর, যেবলা আল্লার পুতর গলার আওয়াজ হুনিয়া মুর্দা অকল কয়বর থাকি বারইয়া আইবা।
29 আর যেরা নেক কাম করছইন, তারা বেহেস্তি জিন্দেগি পাওয়ার লাগি উঠবা, অইলে যেরা নাফরমানির মাজে জিন্দেগি কাটাইছে, তারা উঠবা সাজা পাওয়ার লাগি।
30 “আমি তো নিজে নিজে কুন্তা করতাম পারি না, আমি যেলা হুনি অলা বিচার করি। আমি হক বিচার করি, কারন আমি আমার নিজর ইচ্ছায় কাম করতাম চাই না, খালি যেইন আমারে পাঠাইছইন তান মর্জি পুরা করতাম চাই।
নিজর বেয়াপারে হজরত ইছা
31 “আমি যুদি নিজর বেয়াপারে নিজে সাক্ষি দেই, তে ই সাক্ষি সঠিক নায়।
32 অইলে দুছরা জনেও আমার বেয়াপারে সাক্ষি দিরা, আর আমি জানি, তাইন যে সাক্ষি দিরা, ইতা হাছা।
33 আপনারা তো এহিয়া নবীর গেছে খবরিয়া পাঠাইয়া জিকাইছইন, তাইনও হকর পক্ষে সাক্ষি দিছইন।
34 আর আমি কুনু মানষর সাক্ষির উপরে ভরসা করি না, অইলে আপনারা যাতে নাজাত পাইয়া জান বাচাইতা পারইন, এরদায় ইতা কইরাম।
35 হজরত এহিয়াউ আছলা হউ জালাইল মুশাল, যে মুশালে ফর দিছিল। আপনারাও থুড়া কয়দিন অউ মুশালর ফরর মাজে খুশি করতে রাজি অইছলা।
36 “অইলে এহিয়া নবীর সাক্ষি থনেও আরো বড় সাক্ষি আমার আছে, কারন আমার গাইবি বাফে যে কামর লাগি আমারে পাঠাইছইন, আমি অতাউ কররাম। আর অউ কামর সাক্ষিয়েউ বুজা যায়, আমারে আমার গাইবি বাফে বেজিছইন।
37 তাইনউ তো হউ বাবা, যেইন আমারে পাঠাইছইন, তাইন নিজেও আমার বেয়াপারে সাক্ষি দিছইন। আপনারা কুনু সময় তান গলার আওয়াজ হুনছইন না, আর তানরে দেখছইনও না।
38 এছাড়া তান কালাম তো আপনারার দিলো রয় না, কারন তাইন যারে পাঠাইছইন, এন উপরে আপনারা ইমান আনইন না।
39 “আপনারা তো খুব মন দিয়া আছমানি কিতাব তিলাওত করইন, মনো করইন ইতা তিলাওত করলে আখেরি জিন্দেগি পাইবা। অইলে অউ কিতাবেউ তো আমার বেয়াপারে সাক্ষি দেয়।
40 এরবাদেও আপনারা জিন্দেগি পাওয়ার লাগি আমার গেছে আইতা চাইন না।
41 “আমি তো মানষর গেছ থাকি তারিফ পাওয়ার আশায় আইছি না,
42 অইলে আমি জানি, আল্লার বায় আপনারার কুনু মহব্বত নাই, আমি তো আপনারারে চিনি।
43 আমি আমার গাইবি বাফর নাম লইয়া আইছি, তা-ও আপনারা আমারে একিন কররা না। অইলে দুছরা কেউ যুদি তার নিজর নামে আয়, তে তারে আপনারা একিন করবা।
44 আপনারা একে-অইন্যর গেছ থাকি তারিফ পাইতা চাইন, অইলে যে তারিফ আল্লার গেছ থনে পাওয়া যায়, ইতার লাগি কুনু চেষ্টা করইন না। তে আপনারা কেমনে একিন করবা?
45 আপনারা মনো করবা না, আমি আমার বাবার গেছে আপনাইন্তরে দুষি বানাইমু। অইলে যে মুছা নবীর উপরে আপনারা ভরসা করি আছইন, হউ মুছায়উ আপনাইন্তরে দুষি কইরা।
46 আপনারা যুদি মুছা নবীরে একিন করতা, তে আমারেও একিন করলা অনে, ই মুছা নবীয়ে তো আমার বেয়াপারেউ লেখছইন।
47 অইলে আপনারা যেবলা তান লেখারেউ একিন করইন না, তে আমার মুখর কথারে কিলা একিন করবা?”