17
উম্মতর লাগি মুনাজাত
অখান কইয়া হারি হজরত ইছায় আছমানর বায় চাইয়া দোয়া করলা, “বাবা, সময় অইগেছে। তুমি তুমার পুতর মহিমা জাইর করো, যাতে পুতেও তুমার মহিমা জাইর করতা পারইন। তুমি তানরে হকল মানষর উপরে খেমতা দিছো, যাতে তুমি যেরারে তান আতো সপিছো, এরারে তাইন আখেরি জিন্দেগি দেইন। একমাত্র হক আল্লারে মানি তুমারে আর তুমি যেনরে পাঠাইছো, হউ ইছা আল-মসীরে চিনাউ অইলো আখেরি জিন্দেগি। তুমি আমারে যে কাম দিছো, ই কাম আদায় করিয়া দুনিয়াত তুমার মহিমা জাইর করছি। তে বাবা, দুনিয়া পয়দা করার আগে তুমার দরবারো আমার যে মহিমা আছিল, তুমার গেছর অউ মহিমা অখন আমারে হিরবার দেও।
“ই দুনিয়ার মাজর যেরারে আমার আতো সপিছো, আমি এরার গেছে তুমারে জাইর করছি। তারা তো তুমারউ আছলা, তুমিউ তারারে আমার আতো সপিছো। তারা তুমার হুকুম মানিয়া চলছে। তারা অখন বুজছে, তুমি যেতা আমারে দিছো, ইতা তো তুমার গেছ থাকিউ আইছে। কারন অইলো, তুমি যেতা তবলিগ করার হুকুম দিছো, আমি অতা জানাইছি। আর তারাও ইতারে কবুল করিয়া আসল খান বুজিলিছে যেন, আমি তুমার গেছ থাকিউ আইছি। তারা একিনও করছে, তুমিউ আমারে পাঠাইছো। তে আমি তো হকলর লাগি মিনত করিয়ার না, খালি তুমি যারারে আমার আতো দিছো, এরার লাগিউ মিনত কররাম, তারা তো তুমারউ। 10 আমার যততা আছে হক্কলতাউ তুমার, আর তুমার হক্কলতাউ আমার। এরার মাজদিউ আমার মহিমা জাইর অর।
11 “ও পবিত্র বাবা, ই দুনিয়াত আমি আর বেশি সময় নায়, অইলে তারা ই দুনিয়াত আছইন, আমি তো তুমার গেছে আইরাম। তুমি আমারে তুমার যে নাম দিছো, অউ নামর বলে এরারে বাচাও, যাতে আমরা যেলা এক, তারাও অলা এক অইতা পারইন। 12 আমি যতদিন তারার লগে আছলাম, অতদিন তুমার দেওয়া অউ নামর গুনে তারারে বাচাইছি। তারারে পারা দিয়া রাখছি, তারা কেউ বিনাশ অইছে না। খালি যার বিনাশ অওয়ার কথা, হে-উ বিনাশ অইছে, যাতে আল্লার কালামর কথা ফলে।
13 “তে অখন আমি তুমার গেছে আইরাম, দুনিয়াত রইতেউ ইতা তারারে জানাই দিলাম, যাতে আমার খুশিয়ে তারার দিল ভরি যায়। 14 তুমি আমারে যেতা জানাইছো, আমিও তারারে অতা জানাইছি। আমি যেলা ই দুনিয়ার নায়, তারাও অলা ই দুনিয়ার নায়, এরলাগি দুনিয়ার মানষে তারারে ঘিন্নাইছে। 15 আমি তুমার গেছে আবদার কররাম না, তুমি তারারে দুনিয়া থাকি নিতায়গি, বরং অউ আবদার কররাম, তুমি তারারে ইবলিছর আত থাকি হেফাজত করো। 16 আমি যেলা অউ দুনিয়ার নায়, অউলা তারাও ই দুনিয়ার নায়। 17 তুমি তারারে তুমার হক দিয়া খাছ হিসাবে রাখো। তুমার কালামউ অইলো অউ হক। 18 তুমি যেলা আমারে দুনিয়াত পাঠাইছো, অউলা আমিও তারারে দুনিয়ার মাজে পাঠাইছি। 19 আমি তারার লাগি নিজরে খাছ করি রাখছি, যাতে তারারেও হক দিয়া খাছ হিসাবে রাখা অয়।
20 “তে আমি খালি এরার লাগি মিনত করিয়ার না, তারার লাগিও মিনত কররাম, যেরা এরার কথা হুনিয়া আমার উপরে ইমান আনবো। 21 আমি মিনত করিয়ার তারা হকল যানু এক অয়। বাবা, তুমি যেলা আমার লগে আছো আর আমিও যেলা তুমার লগে আছি, অউলা তারাও যানু আমরার লগে মিলিয়া রইন। তেউ দুনিয়ার মানষে একিন করবা, তুমিউ আমারে পাঠাইছো। 22 তুমি আমারে যে মহিমা দান করছো, আমি ইতা তারারে দান করছি, যাতে আমরা যেলা এক, অউলা তারাও এক অইতা পারইন। 23 তুমি যেলা আমার মাজে আছো, অলা আমিও তারার মাজে আছি। অউ লাখান তারা যানু পুরাপুর এক অইতা পারইন। তেউ দুনিয়ার মানষে বুজবো, তুমিউ আমারে পাঠাইছো, আর তুমি আমারে যেলা মায়া করো, অউলা তারারেও মায়া করো। 24 বাবা, আমি চাইরাম, তুমি যেরারে আমার আতো সপিছো, আমি যেখানো আছি, তারাও যানু আমার লগে হনো রইন আর আমার মহিমা দেখইন। ই মহিমা তো তুমিউ আমারে দান করছো, কারন দুনিয়া পয়দা করার আগ থাকিউ তুমি আমারে মায়া করছো।
25 “ও হক ইনছাফকারি বাবা, দুনিয়ার মানষে তুমারে চিনে না, অইলে আমি তো চিনি। আর তুমিউ যেন আমারে পাঠাইছো, ইখান এরা বুজিলিছে। 26 এরার গেছে আমি তুমার নাম জাইর করছি, আগেদি আরো করমু, যাতে তুমি আমারে যেলা মায়া করো, অলা মায়া তারার ভিতরেও থাকে আর আমি তারার লগে মিশিয়া থাকি।”