পবিত্র ইঞ্জিল শরিফ ২৩ নম্বর ছিপারা
পয়লা হান্নান
পরিচিতি
আল্লা পাকর হুকুমে হজরত ইছা আল-মসীর সাহাবি হজরত হান্নানে (রা:) চিঠির আকারে অউ ছহিফা লেখছইন। হজরত ইছায় দুনিয়া থাকি বেহেস্তো তশরিফ নেওয়ার অনুমান ৫০-৬০ বছর বাদে ইখান লেখা অইছে।
তান লেখা অউ ছহিফার মাজে, আল্লা পাকর মায়ার বন্দা অকলর বেয়াপারে বয়ানি আছে। জগতর মানষর আওলাদ অকল যেলাখান তারার মা-বাফর লাখান অইন, অউলা আল্লার মায়ার বন্দা অকলও তান লাখান অইন। হজরত ইছা আল-মসীর উপরে ইমান আনিয়া যেরা আখেরি জিন্দেগি পাইলিছে, তারার জিন্দেগির মাজে নানান নমুনায় আল্লাই গুনাগুন দেখা যায়। তারা আল্লার হুকুম-আহকাম মানিয়া চলে, আর গুনার কাম থাকি হরিয়া রয়। আল্লা পাকর বায় তারার মহব্বত আছে আর অইন্যান্য ইমানদার অকলরেও মহব্বত করে।
অউ ছিপারার ৩ রুকু ১৬ আয়াতো আছে, “আল-মসীয়ে আমরার লাগি তান নিজর জান বিলাই দিছলা, অখান থাকিউ আমরা বুজছি, মহব্বত কারে কয়। অখন আমরার ভাইর লাগিও আমরার জান বিলাই দেওয়া জরুর।”
এরমাজে আছে,
(ক) হজরত ইছাউ আল্লার দেওয়া জিন্দেগি কালাম ১:১-৪ আয়াত
(খ) গুনা ছাড়িয়া আল্লার নুরে আর মহব্বতে চলো ১:৫-২:১৭
(গ) খানে-দর্জাল থাকি সাবধান ২:১৮-২৭; ৪:১-৬
(ঘ) আল্লার নুরর আওলাদ বনিয়া নেকির আশিক অও ২:২৮-৩:১০
(ঙ) আল্লা নিজেউ মহব্বত, তে মহব্বতে চলো ৩:১১-২৪; ৪:৭-২১
(চ) ইছাউ আল্লার খাছ মায়ার জন মানিয়া জয়ী অও ৫ রুকু
1
হজরত ইছাউ আল্লার দেওয়া জিন্দেগি কালাম
হকল পয়লা থাকিউ যেইন আছলা, যানরে নিজর চউখে দেখছি, যান মুখর আওয়াজ আমরা হুনছি, খুব খিয়াল করি আজমাইয়া চাইছি আর নিজর আতে ধরা-ছোয়া করছি, হউ জিন্দেগি কালামর বয়ানি লেখরাম। অউ জিন্দেগি তো ই দুনিয়াত জাইর অইছলা, আমরার নিজর চউখে ই জিন্দেগিরে দেখছি, দেখিয়া হারি তান বেয়াপারে সাক্ষি দিরাম। বেহেস্তি বাফ আল্লা পাকর গেছে যেইন আছলা আর আমরার মাজে জাইর অইছলা, আখেরি অউ জিন্দেগানির কথাউ তুমরারে জানাইরাম। অউ যে জনরে আমরা দেখছি, যান মুখর বুলি হুনছি, তান বেয়াপারেউ তুমরারে কইরাম। যাতে অতা হুনার বাদে আমরার লগে তুমরারও খাতির-দুস্তি অয়। আমরার অউ খাতির অইলোগি, গাইবি বাফ আল্লা পাক আর তান খাছ মায়ার জন ইবনুল্লা ইছা আল-মসীর লগে। তে আমরা ইতা লেখরাম, যাতে আমরা আর তুমরার খুশি-বাসি পুরা অয়।
গুনা ছাড়িয়া আল্লার নুরে আর মহব্বতে চলো
আমরা আল-মসীর মুখ থাকি ইতা হুনিয়া হারি, অখন তুমরারেও জানাইরাম, আল্লা পাক তো নুর। তান মাজে আন্দারির কুনু ছিটা-ফুটাও নাই। আর আমরা আন্দারির মাজে চলিয়া যুদি কই, আল্লা পাক আর আমরার মাজে খাতির-দুস্তি আছে, তে তো আমরা মিছা মাতরাম, সঠিক কাম কররাম না। অইলে আল্লা পাক যেলা নুরর মাজে বসত করইন, অউলা আমরাও যুদি নুরর ফরে চলি, তে আমরা একে-অইন্যে খাতির-দুস্তি আছে, আর তান খাছ মায়ার জন ইছা ইবনুল্লার পবিত্র লউয়ে আমরার তামাম গুনা-কছুরি পাক-ছাফ করে। অখন আমরা যুদি কই, আমরা মোটেউ গুনাগার নায়, তে আমরা নিজে নিজরে টগিয়ার, এতে পরমান অয় আমরার মাজে আল্লাই হকিকতি নাই। আমরা যুদি যারযির গুনার স্বীকারুক্তি দিলাই, তে তান আপন হক-হালালি আর পাক-পরেজগারির গুনে, লগে লগে গুনার মাফি দিলাইন, তামাম নাফরমানি থাকি আমরারে পাক-ছাফ করিলাইন। 10 অখন আমরা যুদি কই, আমরা কুনু গুনা করছি না, তে আমরা তানরেউ মিছা মাতরা বানাইলাম, এতে পরমান মিলে, আমরার দিলর মাজে তান কালাম নাই।