3
আল্লার লগে মিলনর নয়া এক উছিলার খাদিম
তুমরা কিতা মনো করো, আমরা ইতা কইয়া হিরবার আমরার নিজর সুনাম গাওয়াত লাগছি নি? কুনু কুনু মানষর যেলা অইন্যর গেছ থাকি সনদ নেওয়া লাগে, আমরাও অলাখান তুমরার গেছে বা তুমরা থাকি সনদ পাওয়া লাগবো নি? না, মোটেউ না। তুমরার নাম তো আমরার দিলর মাজে লেখা আছে, তুমরাউ অইলায় আমরার সনদ। আর অউ সনদর কথা তো হকলেউ জানে আর হকলেউ পড়ে। ইখান তো পরিস্কার বুজা যায়, আল-মসীর লেখা সনদ অইলায় তুমরাউ, তুমরাউ আমরার মেনতর ফল। ই সনদ তো কুনু কালি-কলম দিয়া লেখা অইছে না, খালি আল্লার পাক রুহ দিয়া লেখা অইছে। ইখান তো তুর পাড়ো পাওয়া শরিয়তর লাখান কুনু পাথরর উপরে লেখা নায়, বরং মানষর দিলর মাজেউ লেখা অইছে।
অউ বেয়াপারে আল-মসীর উছিলায় আল্লার দরবারো আমরার পুরাপুর নিচ্চয়তা আছে, তা-ও আমরা যে নিজর গুনে হকলতা করিলতাম পারমু, ইলা কুনু কথা নায়। ই খেজমতি গুন তো খালি আল্লার গেছ থাকিউ পাই। আল্লার লগে মিলনর নয়া উছিলার কথা জানানির লাগি, তাইনউ আমরারে ই খেজমতি গুন দান করছইন। ই উছিলা তো অক্ষরে অক্ষরে শরিয়ত মানার বেয়াপার নায়, বরং পাক রুহর পরিচালনায় দিলর ইমান-আকিদার বেয়াপার। কারন অক্ষরে মউত, আর রুহে জিন্দেগি।
পাথরর উপরে লেখা শরিয়তি যে খেজমতে মরন আয়, অউ শরিয়ত নাজিলর সময় তো আল্লার মহিমা জাইর অইছিল। অউ সময় হজরত মুছার চেহারাও আল্লার মহিমায় নুরানি অইগেছিল। তান মুখর নুরানি ছুরত যুদিও আস্তে আস্তে কমি যাওয়া ধরছিল, তেবউ বনি ইসরাইল অকলে তান চেহারা বায় চাওয়ার তাক্কত অইছে না। অউ শরিয়তর খেজমতি ফল যুদি অতো মহিমা আলা অয়, তে পাক রুহর খেজমতি ফল কতো বেশি মহিমা আলা! অউ যে অক্ষরি শরিয়তে মানষরে দুষি সাইবস্তো করে, তার খেজমতি কাম যুদি অতো মহিমা আলা অয়, তে যে খেজমতে বে-কছুর খালাছ কইয়া গইন্য করে, ই খেজমত তো আরো কতো বেশি মহিমা আলা! 10 বুজরায় নি, আগে যেতা মহিমা আলা আছিল, অখন ইতার কুনু মহিমা নাই কইলেউ চলে, তার তুলনায় অখনকুর নয়া খেজমতর মহিমা বউত বেশি। 11 যে নুরানির তেজ কমা ধরছিল, ইতা যেবলা অতো মহিমা আলা, তে যেতা চিরকাল রইবো, ইতা তো আরো কতো বেশি মহিমা আলা!
12 আমরার মনো অলাখান আশা আছে গতিকেউ আমরা খুলা-খুলি মাতি। 13 আমরা তো হজরত মুছার লাখান নায়, তাইন পর্দা দিয়া তান মুখ গুরিয়া থইছলা, যাতে তান মুখর কমি যাওয়া নুরানি ছুরত বনি ইসরাইলে না দেখইন। 14 অইলে তারার দিল পাষান অইগেছিল। আর অখনও তৌরাত শরিফো লেখা, আল্লার লগে মিলনর হউ পুরানা উছিলার কথা তিলাওত করলে, তারার দিলর মাজে পর্দা থাকে। খালি ইছা আল-মসীর উপরে ইমান আনলে অউ পর্দা হরি যায়। 15 আর অখন পর্যন্ত হজরত মুছার তৌরাত শরিফ তিলাওত করার সময় বনি ইসরাইল অকলর দিল পর্দা দিয়া গুরা থাকে। 16 তারার মাজে কেউ যেবলা মালিকর উপরে ইমান আনে, অউ সময় হউ পর্দা হরি যায়। 17 অউ মালিক অইলা পাক রুহ, আর মালিকর রুহ যেনো আছে, অনোউ স্বাধীনতা আছে। 18 আয়নার ছামনে যেলা পর্দা ছাড়া মুখ সরাসরি দেখা যায়, অউলা আমরা হকলউ আল-মসীর নুরানি মহিমা দেখি দেখি আরো বেশি মহিমা আলা বনিয়া তান লাখান মহিমা আলা অইরাম। আমরার মালিক ইছা, মানি পাক রুহর কুদরতি বলেউ ইলা অর।