সাহাবি হিসাবে হজরত পাউলুছর অধিকার (১০:১-১৩:১৪)
10
আল্লার খেজমতো হজরত পাউলুছ
ও মুমিন ভাইয়াইন, আল-মসীর নরম আর দয়ালু ভাবর কথা ইয়াদ করিয়া, আমি পাউলুছে তুমরারে মিনত করিয়ার, মানষে কইন, আমি যেবলা তুমরার লগে রই, অউ সময় আমি বুলে ডরাই ডরাই থাকি, আর হরিয়া গিয়া হারলে সাওসি অইযাই। তে যেরা মনো করে, আমরা দুনিয়াবি মানষর লাখান জিন্দেগি কাটাইয়ার, তারার লগে যতখান সাওস দেখানি দরকার, আমি চাইরাম, আমি আওয়ার বাদে যানু অতখান সাওস দেখানি না লাগে। আমরা যুদিও রক্ত-মাংসর মানুষ, অইলে আমরা যে লাড়াই কররাম, ইতা তো কুনু রক্ত-মাংসর লাড়াই নায়। দুনিয়াবি সিপাইয়ে যেতা অস্ত্র-শস্ত্র দিয়া লাড়াই করইন, আমরা তো ইতা দিয়া লাড়াই করি না, আল্লাই বলে আমরার অস্ত্র-শস্ত্রয় পাড়র উপরর বাংকারও ভাংগিলতো পারে। আমরার অস্ত্রদি মানষর বানোয়াট যুক্তি বিনাশ করি, আর আল্লারে চিনার পথে যতো লাখান বাধা-বিঘ্নয় দিলরে আটকাইয়া রাখে, ইতারেও বিনাশ করি। মানষর মনর হকল কু-চিন্তারে খেদাইয়া হারি আল-মসীর তলে আনি। তে তুমরা যেবলা ষোলআনা বাইধ্য অইয়া তান তলে আইবায়, হউ সময় যেতা অবাইধ্য রইবা, ইতারে সাজা দিবার লাগি আমরা জুইত অইমু।
তুমরা তো খালি আমরার বাইরর ছুরত দেখছো। কুনু মানষে যুদি নিজরে আল-মসীর উম্মত মনো করে, তে তার চিন্তা করা জরুর, হে যান উম্মত, আমরাও তো তান উম্মত। আসলে মালিক ইছায় আমরারে যে অধিকার দিছইন, ই বেয়াপারে আমি কিছু বড়াই দেখাইলেও তো শরমিন্দা অইতাম নায়। কারন ই অধিকারর উদ্দেশ্য অইলো, তুমরারে গড়িয়া তুলা, কুনু খেতি করা নায়। আমার ই লেখা পড়িয়া মনো করিও না, আমি চিঠি দিয়া তুমরারে ডর দেখাইরাম। 10 কুনু কুনু মানষে মাতইন, “তান লেখা চিঠিন্তে দিলো ডেক্কা মারে, ইতা শক্তিশালি চিঠি, অইলে তাইন কান্দাত আইলে দেখা যায়, তাইন কমজুর আর ওয়াজ-নছিয়তও মোটেউ গরম নায়।” 11 অতা মানষরে জানানির লাগি কইরাম, আমরা দুরই থাকি চিঠির মাজদি যেতা লেখরাম, ছামনে আইলে ঠিক অলাউ করমু।
12 তুমরার মাজর কুনু কুনু জনে তার নিজর তারিফ গায়। তারার লগে তো আমরার তুলনা চলে না, বা তারার দলর সদইস্য অইতেও সাওস করি না। তারা তো নিজে নিজে যেতা ভালা মনো করইন, অতার লগেউ তারার তুলনা করইন, অতাদিউ বিচার করইন, বুজরায় নি, ইতা কতো বড় আম্মক! 13 হুনো, আমরার যতখান বড়াই করা উচিত, এর বেশি করতাম নায়, বরং আল্লায় আমরার কামর যে সীমানা ঠিক করি দিছইন, আমরা এর ভিতরে রইয়াউ বড়াই করমু, ই সীমানার ভিতরে তুমরাও আছো। 14 এরলাগি আমরা যেবলা তুমরার গেছে গেছলাম, অউ সময় সীমার বারা তো গেছি না। তুমরার গেছে তো হকল পয়লা আমরাউ আল-মসীর খুশ-খবরি তবলিগ করাত গেছলাম। 15 এছাড়া পরর কাম লইয়া আমরা গৌরব করিয়ার না, ইতা করলে সীমার বারা অইলো অনে। আমরা আশা করিয়ার, তুমরার ইমানি বল বাড়ার লগে লগে তুমরার মাজে আরো বউত কাম করতাম পারমু। 16 হউ সময় তুমরার গেছ থাকি আরো দুরর দেশাইন্তো গিয়া খুশ-খবরি তবলিগ করতাম পারমু। তেউ কুনু মানষে কইতো পারতো নায়, পরর কাম লইয়া আমরা বড়াই করিয়ার। 17 অইলে আল্লার কালামো আছে, “যে মানষে বড়াই করে, হে মালিক-মউলারে লইয়া বড়াই করউক।” 18 কারন নিজর সুনাম নিজে গাইলেউ পরমান অয় না হে ভালা মানুষ, বরং মালিক-মউলায় যার সুনাম গাইন, হে-উ ভালা হিসাবে পরমান অয়।