5
বিধবা, প্রাচীন এবং ক্রীতদাসদের সম্বন্ধে শিক্ষা
কোনো প্রবীণ ব্যক্তিকে কঠোরভাবে তিরস্কার কোরো না, বরং তাঁকে তোমার বাবার মতো মনে করে বিনীতভাবে অনুরোধ করো। যুবকদের ছোটো ভাইয়ের মতো মনে করো। প্রবীণাদের মায়ের মতো এবং তরুণীদের সঙ্গে সম্পূর্ণ শুদ্ধভাবে বোনের মতো আচরণ করো।
প্রকৃত দুস্থ বিধবাদের যথাযথ স্বীকৃতি দিয়ো। কিন্তু কোনো বিধবার যদি সন্তানসন্ততি বা নাতি-নাতনি থাকে, তবে তাদের প্রথম দায়িত্ব হল নিজেদের বাড়িতে তাদের পরিবারের তত্ত্বাবধান করা এবং তাদের বাবা-মা ও দাদু-দিদার প্রতি ঋণ পরিশোধ করা। এভাবেই তারা তাদের ধর্মীয় কর্তব্য পালন করবে এবং তা ঈশ্বরের চোখে সন্তোষজনক। যে বিধবা প্রকৃতই নিঃস্ব ও একেবারেই নিঃসঙ্গ, সে ঈশ্বরের উপরেই প্রত্যাশা রাখে এবং দিনরাত প্রার্থনায় রত থেকে ঈশ্বরের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে। কিন্তু যে বিধবা শারীরিক কামনার বশে জীবনযাপন করে, সে জীবিত থেকেও মৃত। তুমি তাদের এই শিক্ষা দাও, যেন কেউ তাদের নিন্দা করার সুযোগ না পায়। কেউ যদি তার আত্মীয়স্বজনের, বিশেষত পরিবারের আপনজনদের ভরণ-পোষণ না করে, সে বিশ্বাস অস্বীকার করেছে এবং অবিশ্বাসীর চেয়েও নিকৃষ্ট প্রতিপন্ন হয়েছে।
তাঁরই নাম বিধবাদের তালিকাভুক্ত হবে, যাঁর বয়স ষাট বছরের বেশি এবং যিনি তাঁর স্বামীর প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন; 10 যিনি বিভিন্ন সৎকর্মের জন্য সুপরিচিত, যেমন সন্তানের লালনপালন, আতিথেয়তা, পবিত্রগণের পা ধুয়ে দেওয়া, বিপন্নদের সাহায্য করা এবং সর্বপ্রকার সৎকর্মে আত্মনিয়োগ করেছেন।
11 অল্পবয়স্ক বিধবাদের নাম এই ধরনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত কোরো না। কারণ খ্রীষ্টের প্রতি আত্মনিবেদনের চেয়ে, তাদের শারীরিক কামনাবাসনা যখন প্রবল হয়ে ওঠে, তখন তারা বিবাহ করতে চায়। 12 এভাবে তারা প্রথম প্রতিশ্রুতি ভেঙে নিজেদের অপরাধী করে তোলে আর নিজের উপরে শাস্তি ডেকে আনে। 13 এছাড়া তারা অলসতায় জীবনযাপন করতে এবং বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়াতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তারা যে শুধু অলসই হয়, তা নয়, তারা অনধিকারচর্চা এবং কুৎসা-রটনা করে যা বলা উচিত নয়, এমন কথা বলে বেড়ায়। 14 তাই অল্পবয়স্ক বিধবাদের প্রতি আমার উপদেশ: তারা বিবাহ করুক, সন্তানের জন্ম দিক, তাদের গৃহের দেখাশোনা করুক এবং মিথ্যা কলঙ্ক দেওয়ার কোনো সুযোগ যেন শত্রুকে না দেয়। 15 বাস্তবিক, কেউ কেউ ইতিমধ্যেই ভুল পথে গিয়ে শয়তানের অনুগামী হয়েছে।
16 বিশ্বাসী কোনো মহিলার পরিবারে যদি বিধবারা থাকে, তাহলে সে তাদের সাহায্য করুক, তাদের জন্য মণ্ডলীকে যেন দায়িত্বভার নিতে না হয়; সেক্ষেত্রে যে বিধবারা সত্যিসত্যিই দুস্থ, মণ্ডলী তাদের সাহায্য করতে পারবে।
17 যেসব প্রাচীন মণ্ডলীর কাজকর্ম ভালোভাবে পরিচালনা করেন, তাঁরা দ্বিগুণ সম্মানের যোগ্য, বিশেষ করে যাঁরা প্রচারক ও শিক্ষক। 18 কারণ শাস্ত্র বলে, “শস্য মাড়াই করার সময় বলদের মুখে জালতি বেঁধো না”* এবং “কর্মচারী তার বেতন পাওয়ার যোগ্য” 19 দুজন কি তিনজন সাক্ষীর সমর্থন ছাড়া কোনো প্রাচীনের বিরুদ্ধে নিয়ে আসা অভিযোগকে গ্রাহ্য কোরো না। 20 যারা পাপ করে, প্রকাশ্যে তাদের তিরস্কার করো, যেন অন্যেরা সতর্ক হতে পারে। 21 ঈশ্বর, খ্রীষ্ট যীশু এবং মনোনীত দূতদের সাক্ষাতে আমি তোমাকে আদেশ দিচ্ছি, এসব নির্দেশ নিরপেক্ষভাবে পালন করো, পক্ষপাতিত্বের বশে কোনো কিছুই কোরো না।
22 সত্বর কারও উপরে হাত রেখো না; অপরের পাপের ভাগী হোয়ো না; নিজেকে শুচিশুদ্ধ রেখো।
23 এখন থেকে শুধু জলপান কোরো না, তোমার পাকস্থলীর রোগ এবং বারবার অসুস্থতার জন্য একটু দ্রাক্ষারস পান কোরো।
24 কিছু লোকের পাপ স্পষ্ট ধরা পড়ে এবং তা বিচারের অপেক্ষা রাখে না, কিন্তু অন্যদের পাপ পরবর্তীকালে ধরা পড়ে। 25 একইভাবে, সৎ কর্মগুলি সুস্পষ্ট দেখা যায়, এমনকি, যদি নাও দেখা যায়, সেগুলি ঢেকে রাখা যায় না।
* 5:18 দ্বিতীয় বিবরণ 25:4 5:18 লূক 10:7