5
1 সদাপ্রভুর মন্দিরের জন্য শলোমনের করা সব কাজ সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার পর তিনি তাঁর বাবা দাউদের উৎসর্গ করা জিনিসপত্র—রুপো ও সোনা এবং সব আসবাবপত্রাদি—সেখানে নিয়ে এলেন এবং ঈশ্বরের মন্দিরের কোষাগারে সেগুলি রেখে দিলেন।
নিয়ম-সিন্দুকটি মন্দিরে আনা হল
2 পরে দাউদ-নগরী সিয়োন থেকে সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকটি নিয়ে আসার জন্য শলোমন ইস্রায়েলের প্রাচীনদের, বিভিন্ন গোষ্ঠীর সব কর্তাব্যক্তিকে ও ইস্রায়েলী বংশের প্রধান লোকজনদের জেরুশালেমে ডেকে পাঠালেন।
3 সপ্তম মাসে উৎসব চলাকালীন ইস্রায়েলীরা সবাই রাজার কাছে একত্রিত হল।
4 ইস্রায়েলের প্রাচীনেরা সবাই সেখানে পৌঁছে যাওয়ার পর লেবীয়েরা সেই সিন্দুকটি উঠিয়েছিলেন,
5 এবং তারা সেই সিন্দুকটি ও সমাগম তাঁবুটি ও সেখানে রাখা সব পবিত্র আসবাবপত্রাদি উঠিয়ে এনেছিল। লেবীয় বংশোদ্ভুক্ত যাজকেরা সেগুলি বহন করলেন;
6 আর রাজা শলোমন ও তাঁর কাছে একত্রিত হওয়া ইস্রায়েলের সমগ্র জনসমাজ সিন্দুকটির সামনে উপস্থিত হয়ে এত মেষ ও গবাদি পশুবলি দিলেন, যে সেগুলি নথিভুক্ত করে বা গুনে রাখা সম্ভব হয়নি।
7 যাজকেরা পরে সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকটি মন্দিরের ভিতরদিকের পীঠস্থানে, অর্থাৎ মহাপবিত্র স্থানে সেটির জন্য ঠিক করে রাখা স্থানে নিয়ে এলেন, এবং দুটি করূবের ডানার নিচে রেখে দিলেন।
8 করূব দুটি সেই সিন্দুক রাখার স্থানের উপর তাদের ডানা মেলে ধরেছিল এবং সেই সিন্দুক ও সেটির হাতলগুলি ঢেকে রেখেছিল।
9 সেই হাতলগুলি এত লম্বা ছিল যে সিন্দুক থেকে বের হয়ে আসা হাতলের শেষপ্রান্তগুলি ভিতরদিকের পীঠস্থানের সামনে থেকে দেখা যেত, কিন্তু পবিত্রস্থানের বাইরে থেকে দেখা যেত না; আর সেগুলি আজও সেখানেই আছে।
10 সেই সিন্দুকে সেই দুটি পাথরের ফলক ছাড়া আর কিছুই ছিল না, যেগুলি ইস্রায়েলীরা মিশর দেশ থেকে বের হয়ে আসার পর সদাপ্রভু তাদের সাথে যেখানে এক নিয়ম স্থাপন করলেন, সেই হোরেবে মোশি সিন্দুকে ভরে রেখেছিলেন।
11 যাজকেরা পরে পবিত্রস্থান ছেড়ে চলে গেলেন। সেখানে উপস্থিত যাজকেরা সবাই তাদের বিভাগের কথা না ভেবেই নিজেদের উৎসর্গ করে দিলেন।
12 যেসব লেবীয় গানবাজনা করতেন—আসফ, হেমন, যিদূথূন ও তাদের ছেলেরা ও আত্মীয়স্বজন—তারা সবাই মিহি মসিনার কাপড় গায়ে দিয়ে ও সুরবাহার, বীণা ও খঞ্জনি বাজাতে বাজাতে যজ্ঞবেদির পূর্বদিকে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের সাথে ছিলেন আরও 120 জন যাজক, যারা শিঙা বাজাচ্ছিলেন।
13 শিঙাবাদকেরা ও বাদ্যকররা সদাপ্রভুর উদ্দেশে প্রশংসা ও ধন্যবাদ জানানোর জন্য যুগপৎ বিভিন্ন স্কেলে একই স্বর বাজিয়ে যাচ্ছিলেন। শিঙা, সুরবাহার ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের সংগত পেয়ে গায়করাও সদাপ্রভুর উদ্দেশে প্রশংসা করতে গিয়ে গলার স্বর উচ্চগ্রামে তুলেছিল এবং তারা গেয়েছিল:
“তিনি মঙ্গলময়;
তাঁর প্রেম চিরস্থায়ী।”
তখন সদাপ্রভুর মন্দির মেঘে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল,
14 এবং সেই মেঘের কারণে যাজকেরা তাদের পরিচর্যা করে উঠতে পারেননি, যেহেতু সদাপ্রভুর প্রতাপে ঈশ্বরের মন্দিরটি পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল।