36
1 দেশের প্রজারা যোশিয়ের ছেলে যিহোয়াহসকে নিয়ে জেরুশালেমে তাঁকে তাঁর বাবার পদে রাজা করল।
যিহূদার রাজা যিহোয়াহস
2 যিহোয়াহস তেইশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি তিন মাস রাজত্ব করলেন।
3 মিশরের রাজা জেরুশালেমে তাঁকে সিংহাসনচ্যূত করলেন এবং যিহূদার উপর একশো তালন্ত রুপো ও এক তালন্ত সোনা কর ধার্য করলেন।
4 যিহোয়াহসের এক ভাই ইলিয়াকীমকে মিশরের রাজা যিহূদা ও জেরুশালেমের রাজা করলেন এবং ইলিয়াকীমের নাম পরিবর্তন করে যিহোয়াকীম রেখেছিলেন। কিন্তু নখো ইলিয়াকীমের দাদা যিহোয়াহসকে ধরে মিশরে নিয়ে গেলেন।
যিহূদার রাজা যিহোয়াকীম
5 যিহোয়াকীম পঁচিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি এগারো বছর রাজত্ব করলেন। তিনি তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা মন্দ, তাই করলেন।
6 ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজার তাঁকে আক্রমণ করলেন এবং ব্রোঞ্জের শিকল দিয়ে বেঁধে তাঁকে ব্যাবিলনে নিয়ে গেলেন।
7 সদাপ্রভুর মন্দির থেকে নেবুখাদনেজার জিনিসপত্রও ব্যাবিলনে নিয়ে গেলেন ও সেগুলি সেখানে তাঁর মন্দিরে রেখে দিলেন।
8 যিহোয়াকীমের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, যেসব ঘৃণ্য কাজ তিনি করলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে যা কিছু বলা যেতে পারে, সেসব ইস্রায়েল ও যিহূদার রাজাদের পুস্তকে লেখা আছে। তাঁর ছেলে যিহোয়াখীন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
যিহূদার রাজা যিহোয়াখীন
9 যিহোয়াখীন আঠারো বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি তিন মাস দশদিন রাজত্ব করলেন। সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা মন্দ, তিনি তাই করলেন।
10 বসন্তকালে, রাজা নেবুখাদনেজার লোক পাঠিয়ে তাঁকে, ও তাঁর সাথে সাথে সদাপ্রভুর মন্দিরের দামি দামি সব জিনিসপত্রও ব্যাবিলনে নিয়ে গেলেন, এবং যিহোয়াখীনের কাকা সিদিকিয়কে যিহূদা ও জেরুশালেমের রাজা করলেন।
যিহূদার রাজা সিদিকিয়
11 সিদিকিয় একুশ বছর বয়সে রাজা হন। তিনি এগারো বছর জেরুশালেমে রাজত্ব করেন।
12 তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা মন্দ, তিনি তাই করলেন এবং সেই ভাববাদী যিরমিয়ের সামনে নিজেকে নত করেননি, যিনি সদাপ্রভুর বাক্য বললেন।
13 এছাড়া তিনি সেই নেবুখাদনেজারের বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ করলেন, যিনি ঈশ্বরের নামে তাঁকে দিয়ে শপথ করিয়েছিলেন। তিনি একগুঁয়ে হয়ে গেলেন এবং অন্তর কঠোর করলেন ও ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দিকে ফিরে আসেননি।
14 তা ছাড়া, যাজকদের সব নেতা ও প্রজারাও অন্যান্য জাতিদের ঘৃণ্য প্রথা অনুসরণ করে ও সদাপ্রভুর যে মন্দিরটিকে তিনি জেরুশালেমে নিজের উদ্দেশে উৎসর্গ করে রেখেছিলেন, সেই মন্দিরটিকে অশুচি করে আরও বেশি অবিশ্বস্ত হয়ে গেল।
জেরুশালেমের পতন
15 তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু বারবার তাঁর দূতদের মাধ্যমে তাদের কাছে খবর দিয়ে পাঠাতেন, যেহেতু তাঁর প্রজাদের ও তাঁর বাসস্থানের প্রতি তাঁর মমতা ছিল
16 কিন্তু তারা তাঁর দূতদের বিদ্রুপ করত, তাঁর বাক্য অগ্রাহ্য করত ও ততদিন পর্যন্ত তাঁর ভাববাদীদের টিটকিরি দিয়ে গেল, যতদিন না তাঁর প্রজাদের প্রতি সদাপ্রভুর ক্রোধ জেগে উঠেছিল ও এর কোনও প্রতিকার হয়নি।
17 তাদের বিরুদ্ধে তিনি ব্যাবিলনীয়দের সেই রাজাকে উঠিয়ে নিয়ে এলেন, যিনি পবিত্র পীঠস্থানের মধ্যেই তরোয়াল চালিয়ে তাদের যুবকদের হত্যা করলেন, এবং যুবক বা যুবতী, বয়স্ক বা শিশু, কাউকেই রেহাই দেননি। ঈশ্বর তাদের সবাইকে নেবুখাদনেজারের হাতে সঁপে দিলেন।
18 ঈশ্বরের মন্দিরের বড়ো-ছোটো, সব জিনিসপত্র, এবং সদাপ্রভুর মন্দিরের ধনসম্পদ ও রাজা তথা তাঁর কর্মকর্তাদের ধনসম্পদও তিনি ব্যাবিলনে তুলে নিয়ে গেলেন।
19 ঈশ্বরের মন্দিরে তারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল এবং জেরুশালেমের প্রাচীর ভেঙে দিয়েছিল; সব প্রাসাদ তারা জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং সেখানকার মূল্যবান সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছিল।
20 যারা তরোয়ালের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল, অবশিষ্ট সেই লোকজনকে তিনি ব্যাবিলনে তুলে নিয়ে গেলেন, এবং যতদিন না পারস্য সাম্রাজ্য ক্ষমতায় এসেছিল, ততদিন তারা তাঁর ও তাঁর উত্তরাধিকারীদের দাস হয়েই ছিল।
21 দেশ সাব্বাথের বিশ্রাম উপভোগ করল; দেশে যতদিন উচ্ছিন্ন দশা চলেছিল, যিরমিয়ের মাধ্যমে বলা সদাপ্রভুর বাক্য পূর্ণতা পেয়ে সেই সত্তর বছর যতদিন না সম্পূর্ণ হল, ততদিন দেশ বিশ্রাম ভোগ করল।
22 পারস্যের রাজা কোরসের প্রথম বছরে যিরমিয়ের মাধ্যমে বলা সদাপ্রভুর বাক্য সফল করার জন্য সদাপ্রভু পারস্যের রাজা কোরসের অন্তরে এই ইচ্ছা দিলেন, যেন তাঁর সাম্রাজ্যে সর্বত্র তিনি এই কথা ঘোষণা করে দেন ও তা লিখেও রাখেন:
23 “পারস্য-রাজ কোরস একথাই বলেন:
“ ‘স্বর্গের ঈশ্বর সদাপ্রভু পৃথিবীর সব রাজ্য আমাকে দিয়েছেন এবং তিনি আমাকে নিযুক্ত করেছেন, যেন আমি তাঁর জন্য যিহূদা প্রদেশের জেরুশালেমে এক মন্দির নির্মাণ করি। তোমাদের মধ্যে, অর্থাৎ তাঁর প্রজাদের মধ্যে যে কেউ সেখানে যেতে পারে, এবং তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যেন তাদের সাথে থাকেন।’ ”