4
সহভাগিতার সাবধানতা
1 প্রিয় বন্ধুরা, সব আত্মাকে বিশ্বাস কোরো না, বরং তারা ঈশ্বর থেকে এসেছে কি না তা জানার জন্য তাদের পরীক্ষা করো, কারণ বহু ভণ্ড ভাববাদী পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে।
2 তোমরা এভাবেই ঈশ্বরের আত্মাকে চিনতে পারবে: যে আত্মা স্বীকার করে যে যীশু খ্রীষ্ট মানবদেহে আগমন করেছেন, সে ঈশ্বর থেকে,
3 কিন্তু যে আত্মা যীশু খ্রীষ্টকে শরীরে আগত বলে স্বীকার করে না, সে ঈশ্বর থেকে নয়। এ হল সেই খ্রীষ্টারির আত্মা, যার আগমন সম্পর্কে তোমরা শুনেছ, এমনকি ইতিমধ্যেই সে জগতে উপস্থিত হয়েছে।
4 প্রিয় সন্তানেরা, তোমরা ঈশ্বর থেকে। তোমরা খ্রীষ্ট বিরোধীদের পরাস্ত করেছ, কারণ তোমাদের অন্তরে যিনি আছেন, তিনি জগতে যে বিচরণ করে, তার চেয়ে মহান।
5 তারা জগৎ থেকে, তাই জাগতিক দৃষ্টিভঙ্গিতেই তারা কথা বলে এবং জগৎ তাদের কথা শোনে।
6 কিন্তু আমরা ঈশ্বর থেকে এবং ঈশ্বরকে যে জানে, সে আমাদের কথা শোনে; কিন্তু যে ঈশ্বর থেকে নয়, সে আমাদের কথায় কর্ণপাত করে না। এভাবেই আমরা সত্যের আত্মা ও বিভ্রান্তির আত্মাকে চিনতে পারি।
ঈশ্বরের ও আমাদের প্রেম
7 প্রিয় বন্ধুরা, এসো আমরা পরস্পরকে প্রেম করি, কারণ প্রেম ঈশ্বর থেকে আসে। যে প্রেম করে, সে ঈশ্বর থেকে জাত এবং সে ঈশ্বরকে জানে।
8 যে প্রেম করে না, সে ঈশ্বরকে জানে না, কারণ ঈশ্বরই প্রেম।
9 এভাবেই ঈশ্বর আমাদের মধ্যে তাঁর প্রেম প্রদর্শন করেছেন: তাঁর এক ও অদ্বিতীয় পুত্রকে তিনি জগতে পাঠিয়েছেন, যেন আমরা তাঁর মাধ্যমে জীবিত থাকি।
10 এই হল প্রেম: এমন নয় যে আমরা ঈশ্বরকে প্রেম করেছি, বরং তিনি আমাদের প্রেম করেছেন এবং আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য তাঁর পুত্রকে পাঠিয়েছেন।
প্রেমের মহিমা
11 প্রিয় বন্ধুরা, ঈশ্বর যখন আমাদের এত প্রেম করেছেন, আমাদেরও উচিত পরস্পরকে প্রেম করা।
12 কেউ কখনও ঈশ্বরকে দেখেনি। কিন্তু আমরা যদি পরস্পরকে প্রেম করি, ঈশ্বর আমাদের মধ্যে বাস করেন এবং আমাদের মধ্যে তাঁর প্রেম পূর্ণতা লাভ করে।
13 এতেই আমরা জানি যে, আমরা তাঁর মধ্যে বাস করি এবং তিনি আমাদের মধ্যে বাস করেন, কারণ তিনি তাঁর আত্মাকে আমাদের দিয়েছেন।
14 আমরা দেখেছি ও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, পিতা তাঁর পুত্রকে জগতের উদ্ধারকর্তা হওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন।
15 কেউ যদি যীশুকে ঈশ্বরের পুত্র বলে স্বীকার করে, তাহলে ঈশ্বর তার মধ্যে থাকেন এবং সেও ঈশ্বরের মধ্যে থাকে।
16 আর তাই, আমাদের জন্য ঈশ্বরের যে প্রেম, আমরা তা জানি এবং তার উপর নির্ভর করি।
ঈশ্বরই প্রেম। যে প্রেমে বাস করে, সে ঈশ্বরে থাকে এবং ঈশ্বর তার মধ্যে থাকেন।
17 এভাবে, আমাদের মধ্যে প্রেম পূর্ণতা লাভ করে, যেন বিচারের দিনে আমরা নির্ভয়ে থাকতে পারি, কারণ এই জগতে আমরা তাঁরই মতো রয়েছি।
18 প্রেমে কোনো ভয় নেই। কিন্তু নিখাদ ভালোবাসা ভয় দূর করে, কারণ ভয়ের সঙ্গে জড়িত থাকে শাস্তি। আর যে ভয় করে, তার প্রেম পূর্ণতা লাভ করেনি।
19 আমরা প্রেম করি, কারণ তিনিই প্রথমে আমাদের প্রেম করেছেন।
20 কেউ যদি বলে, “আমি ঈশ্বরকে প্রেম করি,” অথচ তার ভাইবোনকে ঘৃণা করে, সে মিথ্যাবাদী। যে ভাই বা বোনকে সে দেখতে পায় তাকে যদি সে প্রেম না করে, তাহলে যে ঈশ্বরকে সে দেখেনি তাঁকে সে প্রেম করতে পারে না।
21 তিনি আমাদের এই আদেশ দিয়েছেন: ঈশ্বরকে যে প্রেম করে, সে তার ভাইবোনকেও প্রেম করবে।